কিভাবে খুব সহজে পাসপোর্ট সংশোধন করতে হয়

🔧 পাসপোর্ট সংশোধনের ধরণ

সাধারণত নিচের তথ্যগুলো সংশোধন করা যায়:

১. নামের বানান ভুল

২. জন্মতারিখে ভুল

৩. পিতামাতা বা স্বামীর নাম সংশোধন

৪. ঠিকানার সংশোধন

৫. ছবি বা স্বাক্ষরের ভুল

৬. জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তথ্য মিল না থাকা


পাসপোর্ট সংশোধনের সহজ প্রক্রিয়া

ধাপ ১: অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ

www.passport.gov.bd ওয়েবসাইটে যান।
* “Apply Online” অপশনে ক্লিক করুন।
* নতুন আবেদন শুরু করুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিন (আপনার পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে লগইন করতে হবে)।
* যেই তথ্য সংশোধন করতে চান, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।

ধাপ ২: সংশোধনের কারণ দেখিয়ে কাগজপত্র প্রস্তুত করুন

নিচের ডকুমেন্টগুলো সাধারণত প্রয়োজন হয়:

* বর্তমান পাসপোর্টের ফটোকপি

* জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (যেটার সাথে মিলিয়ে সংশোধন করতে চান)* সংশোধনের কারণ উল্লেখ করে একটি আবেদনপত্র (Application for Correction)

* যেকোনো প্রমাণপত্র (যেমন নাম পরিবর্তনের গেজেট কপি, শিক্ষাগত সনদ, বিবাহ নিবন্ধন ইত্যাদি)

ধাপ ৩: সংশ্লিষ্ট ফি প্রদান

সংশোধনের জন্য সাধারণত পাসপোর্ট রি-ইস্যু ফি দিতে হয়, যার পরিমাণ:

* সাধারণ (delivery within 21 working days): ৩৫০০ টাকা (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট)

* জরুরি (delivery within 10 working days): ৭০০০ টাকা

ধাপ ৪: আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিন

* অনলাইন আবেদন ফর্ম প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টসহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দিন।
* বায়োমেট্রিক এবং সাক্ষাৎকারও নিতে হতে পারে (যদি প্রয়োজন হয়)।

ধাপ ৫: সংশোধিত পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন

* আবেদন গ্রহণ হলে নির্ধারিত সময়ে সংশোধিত পাসপোর্ট আপনার হাতে আসবে।
* অনলাইনে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।


📝 গুরুত্বপূর্ণ টিপস:

১. সংশোধনের কারণ অবশ্যই যথাযথ ও সত্য হতে হবে।
২. জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের সাথে মিল রেখে তথ্য সংশোধন করতে হবে।
৩. প্রয়োজনে একজন আইনজীবীর সাহায্য নিন, যদি জটিল কোনো সংশোধন থাকে।

Leave a Comment