
না, পুরোপুরি সব ক্ষেত্রে এখনই বাধ্যতামূলক নয় — তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে অনলাইন (ই-রিটার্ন / e-Return) দায়বদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট শ্রেণির করদাতাদের জন্য এখন থেকে অনলাইন আয়কর রিটার্ন দেওয়া আবশ্যক করা হয়েছে।
কি বলা হয়েছে (নবীন নিয়ম)
- ৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে NBR ঘোষণা করেছে যে সমস্ত ব্যক্তিগত করদাতারা (individual taxpayers) এখন থেকে তাদের আয়কর রিটার্ন অনলাইনপন্থায় দাখিল করবেন।
- তবে কিছু বর্জিত শ্রেণি (exempted categories) রাখা হয়েছে, যারা অনলাইনে দাখিল করার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পাবে — যেমন:
- ১. বয়স ৬৫ বা তার বেশি মানুষ
- ২.শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা (বিজ্ঞ প্রমাণ সহ)
- ৩.পরদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা
- ৪.যাদের পক্ষে রিটার্ন দায়রা করছে (ডিকেডেন্ট ব্যক্তি)
- বর্জিত শ্রেণির মানুষ চাইলে কাগজভিত্তিক রিটার্ন দিতে পারবে।
- যদি নথীকরণ বা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে অনলাইনে রিটার্ন দাওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনার অফ ট্যাক্স-কে যুক্তিসমত কারনে আবেদনের মাধ্যমে কাগজভিত্তিক রিটার্ন জমা দেয়ার অনুমতি দেয়া হবে। এ আবেদন শেষ করার সময়সীমা নির্ধারিত করা হয়েছে (৩১ অক্টোবর ২০২৫)।
- এই নতুন অনলাইন বাধ্যবাধকতা ২০২৫–২৬ করবর্ষ (assessment year) থেকে কার্যকর হবে।
✅ সংক্ষেপে: “এখন থেকে” অর্থাৎ কি সবকিছু অনলাইন হবে?
- সামগ্রিকভাবে: হ্যাঁ — অধিকাংশ ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য অনলাইন রিটার্ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তবে পুরোপুরি সব ক্ষেত্রে নয়।
- যারা বাদ দেওয়া হয়েছে: যেমন বয়স্ক, অক্ষম, বিদেশে অবস্থানকারী ইত্যাদি, তারা কাগজভিত্তিক রিটার্ন দিতে পারবে।
- অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি: অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বা লগইন প্রক্রিয়া কাজ না করলে আবেদন করলে কাগজভিত্তি রিটার্ন দেয়ার সুযোগ থাকবে।


